Wednesday 5 December 2018

।। সঙ্ঘমিত্রা হালদারের তিনটি কবিতা ।।



(একটি অনুরোধ, পঙ্‌ক্তিগুলো ভেঙে যাচ্ছে মনে হলে আপনার স্মার্টফোনটি আড়াআড়ি করে পড়বেন। ল্যাপে বা ডেস্কটপে এই অসুবিধা হবে না। কবিতাগুলো কেমন লাগল? মতামত দেবেন, এইটুকু চাইছি।) 


খ্রিষ্টপূর্বের

চেরাপাতার গাছ তোমাকে খ্রিষ্টপূর্বের মনে হয়
তোমার মেঠোবাড়িটি কোনও এক সূর্যাস্তের ভেতর হারিয়ে গেছে
নাজারেথের যিশুর তখনও থুতনিতে রেখা আসেনি
শত্রুপক্ষ তখনও বদমেজাজি, সরল
পানীয়ে বিষ মিশিয়ে দেওয়া তখনও কত অকপট
হৃদয়ে তখনও এত পলির ভাঁজ খেলেনি
কোথায় যেতে চেয়ে কোথায় এসে পড়া
তখনও কিছু বিরল নয়

এই এক সন্ধের মুখে মনের আজ এতরকম হচ্ছে
সবাইকে সন্দেহ হচ্ছে অল্পবিস্তর


বাতাসে কর্পূর ভেবে

তুমি কীভাবে দেখো কীভাবে দৃশ্যের গায়ে বুলিয়ে দাও হাত
আমি অনেক দূরের পথে এসে ভুলেছি সেসব
আমাদের যোগাযোগের ভিতর ফিঙে উড়ে গেছে
যতদূর গেলে মুছে যায় অ্যান্টেনা, অভাবে তার  
ডাকাডাকির স্মৃতি এখন অথৈ জলে মানিয়েছে হেসেখেলে
খেয়াল করিনি কখন থেমেছে সব খোঁড়াখুঁড়ি   

চারদিক তার বুকের মতো রোমশ 
তার ঘ্রাণ শুধু উবে গেছে বাতাসে কর্পূর ভেবে 
মিলিয়ে গেছ একা অর্থহীন কী এক রোষে
যে শব্দে ধরা যেত আমাদের তার আঁচড় আমি খুইয়ে ফেলেছি

তোমাকে ভোলার ভেতর আর কোনও পেরেক নেই
অসাবধানে সেই পেরেক শুধু জেগে যায়, একা



যে ঘৃণা নিয়ে
যে ঘৃণা নিয়ে তাকিয়েছ
কী ঘৃণা নিয়ে যে তাকিয়েছ
অথচ খোঁড়া গর্তের দিকে তাকালে দেখতে
জল তারও ছিল বুকের কোনে, চোখের আলে
এক ভাষা ব্যবহারের অল্পতা তাকে নিয়ে যাচ্ছে 
মরণোত্তর খাদের দিকে
তাকে একপ্রকার না দেখেই চলে যাচ্ছে সবার

কেচেধুয়ে রাখা জামা এমনকি তাকে সন্দেহ করছে
তার মালিকানা বিষয়ে কিছু বলার থাকতে পারে কিনা 
ঘৃণার কাঁকর তার চোখ ধুইয়ে দিচ্ছে 
দুনিয়ার আপনজন বলতে এই এক ত্রাস খেলছে তাকে


[কবিতা আশ্রম (মুদ্রিত)-এর আগস্ট ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত] 


শিল্পী: চন্দন মিশ্র 


No comments:

Post a Comment

।। কবিতা আশ্রম ব্লগজিন ।। তৃতীয় সংখ্যা ।। ডিসেম্বর ২০১৮ ।।

শিল্পী: চন্দন মিশ্র                                                           কথা    ফের নকশিকাঁথার ভাঁজ খুলে মাঠে-মাঠে অঘ...