চন্দন দাস
চন্দন দাসের জন্ম ১৯৯১ সালে পূর্ব মেদনীপুরের
দক্ষিণ হরকুলি গ্রামে। বাংলায় স্নাতক চন্দনের কবিতা লেখা শুরু স্কুলের ম্যাগাজিনে।
ইমেল: chandananikpampa@gmail.com
( একটি অনুরোধ, পঙ্ক্তিগুলো ভেঙে যাচ্ছে মনে হলে আপনার স্মার্টফোনটি আড়াআড়ি করে পড়বেন। ল্যাপে বা ডেস্কটপে এই অসুবিধা হবে না। কবিতাগুলো কেমন লাগল? মতামত দেবেন, এইটুকু চাইছি।)
স্বীকারোক্তি
এখন যেকোনো দুঃসংবাদে মন খারাপ হয় না
নীলচোখে যেদিন সন্ধ্যা নামল সেদিন জেনেছি
আমার মৃত্যু সংবাদে কেঁপে উঠবোনা স্বাভাবিক!
বাবার চশমাটা ঝেড়েদেখি; সান্ধ্যকালীন ছায়াগাছ
সুতীব্রভাবে রেড সিগন্যালে আটকে গেছে।
মায়ের আঁচলে মাড়-খাওয়া শুক্লপক্ষের তারাগুলো
অলৌকিক রাতে জন্মদেয় বেওয়ারিশ আগুন
চারিপাশে ভিয়েনা স্লোগান অবিশ্বাস্যভাবে—
আমাকে জড়িয়ে ধরে। পুড়েযাই প্রেতাত্মা আগুনে
বুভুক্ষু শকুনের ঠোঁটে নরম মাংসের গন্ধ ফুলে ওঠে
কতবার চিৎকারে বলেছি বন্ধ হোক, এই নরকযন্ত্রণা!
এখন আর কোনো কিছুতেই আশ্চর্য হইন না তেমন
মায়ের আঁচল দিয়ে যেদিন শুকনো চাঁদ গলে গেছে
বাবার চশমা থেকে খুলে গেছে মাটির পৃথিবী
সেইদিন দেখেছি নগ্ন নাবিকের চোখে এক সমুদ্র মদ।
বাতাসে রঙিন ফেনা ডুবে যাচ্ছে আমার ভেতর
বেঁচে থাকার গান রিংটোন বাজে পাড়ায় পাড়ায়
আমিও সেইদিন দূরবীন
ছাড়া শুধু আকাশ দেখেছি
মাটি আর আকাশের দূরত্ব মাপতে পারিনি।
ফেরিওয়ালা
চোখ বন্ধ করলে নিজেকে দেখতে পাই
আশ্চর্য এক ফেরিওয়ালা।
যতটা কাছে যাওয়ার ছিল
ততটাই বিক্ষিপ্ত
তারপর গিরিখাত —
সমস্ত পথ নদী হয়ে যায়।
এত মায়া কোত্থেকে আসে
অনাবাদী জমির পাশ দিয়ে যেতে-যেতে
খুচরো পয়সায় খরচ।
তবুও—
শূন্যতার আকাশে স্বপ্ন আঁকি
নীল পালকের উড়ন্ত হাঁস।
না-কবিতার একটি
শেষকথা
দূর থেকে কিছুই বোঝা যায় না
গভীরে রেখেছ ঘাসজন্মের ইতিবৃত্ত
পাথরের ছায়া নিয়ে সরে গেছো তুমুল
জন্মান্ধ প্রেমিক আঁচড়ে বিষফল—
পৃথিবীর সমস্ত ইতিহাসে ঘুরে দাঁড়ানো ভাল।
শক্ত চোয়ালের নীচে কার ছবি আঁকো?
যে তোমায় দেখিয়েছিল সমুদ্র,
প্রতিবেশী বাতাসে তিমির মাদকতা,
ডানা ছেঁড়া পাখির লাল চোখ।
যে বলেছিল—
জীবনের সমার্থক আগুন হতে পারে না!
প্রশ্নচিহ্নের ভেতর প্রান্তিক বৃষ্টি লুকিয়ে
পকেটে রেখেছ জুঁইফুলের রুমাল,
অথচ দ্যাখো চারিপাশে কত মেঘের পাহাড়
বেলাশেষে মুছে দিতে পারতে সবকিছু।
তবে শেষ কথা হোক
সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেছ যে অলৌকিক ঘরে
সিলিংয়ে ঝুলছে দ্যাখো সিকতাসৈকত।
অলংকরণ: মণিশঙ্কর |
ভালো লাগলো
ReplyDeleteKhub valo laglo
ReplyDelete