Friday 3 August 2018

।। কাব্যগ্রন্থটি আশা করছি ঔষধের মতো কাজ করবে: অঙ্কুর মজুমদার ।।



অঙ্কুর মজুমদার 



আলাপন

কবিতা আশ্রম: আপনার কবিতা-যাপন কতদিনের?
অঙ্কুর মজুমদার: প্রায় ১২ বছর।

কবিতা আশ্রম: কবিতা লিখতে আসা কেন?
অঙ্কুর মজুমদার: শুধুমাত্র শখের কারণে।

কবিতা আশ্রম: এই বইটি সম্বন্ধে কিছু কথা পাঠকদের উদ্দেশে বলুন
অঙ্কুর মজুমদার:অন্ধকারের ঘুণপোকা’ প্রধানত বিচ্ছেদ, বিরহ, আশেপাশের কিছু বাস্তবতা ও মন খারাপের সমন্বয়ে লেখা। যারা প্রেম-ভালোবাসা বিষয়টাকে জীবনে গুরুত্ব দেয়, তাদের মনে কিছুটা হলেও কাব্যগ্রন্থটি দাগ কাটবে, এটা আমার বিশ্বাস। কবিতা সাধারণত পাঠকদের পড়ার জন্য লেখা হয়, তাই সবশেষে বলা যেতে পারে, পাঠকদের ভালো লাগলেই আমার লেখা এই কাব্যগ্রন্থটি সার্থকতা পাবে।

কবিতা আশ্রম: আবহমান বাংলা কবিতায় আপনার বইটি নতুন কী দেবে?
অঙ্কুর মজুমদার: তরুণদের ভালোবাসার ভাঙনের ক্ষত শুকোনোর জন্য আমার এই কাব্যগ্রন্থটি আশা করছি ঔষধের মতো কাজ করবে। আর নতুনত্ব বলতে আশেপাশে সমাজের কিছু বাস্তব কথা স্পষ্টভাবে ধরা পড়বে এই কাব্যগ্রন্থে পুরোটা জুড়ে।


ইতিকথা পাবলিকেশন, চাঁদপাড়া, ৬০টাকা





বই উৎসব


আমি কত কিছুই পারি না তাই তো! ভেবে দেখলে আমি কিছুই তো পারি না। তবু মৃত্যুকে এড়িয়ে চলতে তো পারি। অঙ্কুর মজুমদার ‘অন্ধকারের ঘুণপোকা’ (ইতিকথা পাবলিকেশন, চাঁদপাড়া, ৬০টাকা)-র মতো আমাদের মাথার ভেতরে এরকম কত-কত না-পারা নিয়ে হাজির হলেন হঠাৎ। দেখালেন, ‘যে মুখগুলো সবচেয়ে প্রিয়/ যাদের ছোঁয়া,/ আদর মমতা/ বিশুদ্ধ শাসনে ধোয়া;’ এইসব, এইসবও, কিছুই কিছু নয়। কেবল পরিবার, সেই তেল-হলুদ মাখা আঁচল পেতে বসে থাকা আমার মা, অসুস্থ বাবা, ভাই...এই আমাদের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়। তথাপি গোধূলিটা দূর সীমান্তে আত্মগোপন করে, আমাদের বিশ্বাসকে ছাড়িয়ে বড় হয়ে ওঠে সমাজের বলে-দেওয়া, বানানো স্বপ্নগুলো। কী সহজে অঙ্কুর বলে উঠছেন, ‘তোমার সুযোগ ছিল এই মনটাকে রক্ষা করার’, কেবল প্রত্যাশা বড় হয়ে উঠছিল...ভাগ্যিস বুকের ভেতরটা কেউ টের পায় না।’ আপনি পেয়েছেন, অঙ্কুর। 
---‘আমাকে মুছে দাও, অবহেলায়...’/ পাঠক সেনগুপ্ত / কবিতা আশ্রম (মুদ্রিত)/ জুন ২০১৮


অলংকরণ:মণিশঙ্কর




No comments:

Post a Comment

।। কবিতা আশ্রম ব্লগজিন ।। তৃতীয় সংখ্যা ।। ডিসেম্বর ২০১৮ ।।

শিল্পী: চন্দন মিশ্র                                                           কথা    ফের নকশিকাঁথার ভাঁজ খুলে মাঠে-মাঠে অঘ...