মারুত কাশ্যপ |
আলাপন
কবিতা আশ্রম:
আপনার কবিতা-যাপন কতদিনের?
মারুত কাশ্যপ:
কিশোর বয়স থেকে৷ প্রায় ২০-২৫ বছর৷
কবিতা আশ্রম:
কবিতা লিখতে আসা কেন?
মারুত কাশ্যপ:
কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই কবিতার ভাষায়, আঙ্গিকে ভাবনা আসে৷ আর সেটা লিখে রাখি কারণ আমার নিজস্ব
ভাবনাগুলো যেন না হারিয়ে যায়৷ কেউ না কেউ একদিন লেখাগুলো যত্ন করে পড়বে, এই অদ্ভুত
আশা থেকেও লিখে রাখি সেটাও বলা যেতে পারে৷ আসলে কবিতার মধ্যে যে রহস্য, মায়াময়তা, অবর্ণনীয়
অনুভূতির বুনন থাকে তারা যেন আমাকে কুহকের মতো ডাকে৷ সেই ডাক উপেক্ষা করার সাধ্য আমার
নেই৷ তাই বারবার কবিতার কাছেই আমার ফিরে আসা ও সমর্পণ৷ তাছাড়া কবিতার পাঠক হবার যোগ্যতা
অর্জনের জন্যও আমি কবিতা লেখার চেষ্টা করি৷
কবিতা আশ্রম:
এই বইটি সম্বন্ধে কিছু কথা পাঠকদের উদ্দেশে বলুন।
মারুত কাশ্যপ:
এই বইটি সম্পর্কে পাঠকরাই ভালো বলতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস৷ শুধু এটুকু বলার---গ্রামজীবন,
যাপন ও গ্রাম সম্পর্কীয় নানা অনুভূতি যা প্রায় কুড়ি বছর ধরে আমি কবিতা বা কথকতার আঙ্গিকে
লিখেছি, সেসব এই বইটিতে আছে এবং দীর্ঘ এগারো বছর পর আমার এই বইটি প্রকাশ পেল৷ মাঝে
অবশ্য দু-একটা পুস্তিকা প্রকাশ পেয়েছিল বন্ধুদের ইচ্ছেতে৷
কবিতা আশ্রম:
আবহমান বাংলা কবিতায় আপনার বইটি নতুন কী দেবে?
মারুত কাশ্যপ:
সেটা আমি কী করে বলি? একমাত্র সময়ই পারে সে-কথা বলতে৷
কলিকাতা লেটার প্রেস, কলকাতা, ১০০ টাকা |
‘ধরো, সে গ্রামের নাম মধুলক্ষ্মীপুর। গায়ে পড়া
ঢলানি নদী/ গেঁয়ো সভ্যতার বাড়ি, গাছ, নরনারীগণ...’ সেই মনের মতো ছবি আর মনের মতো একটা
নদীর কথা নিয়ে বেহুলা-ভাসানের সুরে এক স্বপ্নালু ‘গ্রামদেশ কথা’ (কলিকাতা লেটার প্রেস,
কলকাতা, ১০০ টাকা) গেয়ে চলেছেন মারুত কাশ্যপ। তাঁর এই কৃষিকথা, চাল-ডাল, নদী-নালা,
ভিজে আচলের স্নিগ্ধ নারীমনের ছোঁয়া আমাদের এই বাতানুকূল জীবনকে হঠাৎ শীতপ্রার্থী করে
তুলল। তাঁর গ্রামদেশ কথা জুড়ে কী নরম রোদ্দুর, মৃদু লন্ঠনের আলো, ঘরে ঘরে ধনধান্য হয়ে
ফুটে ওঠে হাসি, মেঠোপথে কত কাশ ফুটে থাকে, ঘাসফুল, শিউলি ফুলের গন্ধে মাতাল হয় আন-বাড়ি...
এমন অজানা হৃদয়পুর কোথায় আছে যার প্রান্তরে আজও ক্ষীণ জ্যোৎস্না লেগে থাকে? তাঁর সেই
গ্রামের মাটি অসহায়ভাবে আজও শহরকে চেনে। চেনে কোন গলির অন্ধকারে বিড়ি মুখে কুঞ্জবিহারী
অপেক্ষায় আছে...সেই বদলে যাওয়া গ্রামদেশের ‘পদাবলী। রিমেক। লিখছে মারুত কাশ্যপ।’
--‘আমাকে মুছে দাও, অবহেলায়...’/ পাঠক সেনগুপ্ত / কবিতা আশ্রম (মুদ্রিত)/ জুন ২০১৮
অলংকরণ:মণিশঙ্কর |
No comments:
Post a Comment