Friday 3 August 2018

।। সব কবিতাই তো আসলে জীবনের অনুবাদ: গৌরব চক্রবর্তী ।।


গৌরব চক্রবর্তী 



আলাপন


কবিতা আশ্রম: কবিতা-যাপন কতদিনের?
গৌরব চক্রবর্তী: ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কবিতা লেখা নিয়ে উন্মাদনা শুরু হয় আমার মধ্যে। আমি তখন আলিপুরদুয়ার শহরে। তার আগে স্কুল-কলেজে পড়াকালীন ছড়া জাতীয় কিছু একটা লেখার চেষ্টা করতাম। তারপর ২০১১ সালে প্রথম কবিতা ছাপা হয় আলিপুরদুয়ার থেকে প্রকাশিত 'উত্তরের সৃজন' নামক পত্রিকায়। সম্পাদক ছিলেন আমার বর্তমানের অভিন্নহৃদয় কবিবন্ধু শৌভিক বণিক।


কবিতা আশ্রম: লিখতে আসা কেন?
গৌরব চক্রবর্তী: জানি না ঠিক! হঠাৎই! আসলে আমার মনে হয় যে, আমাদের সকলেরই কিছু বলার থেকে যায়, জানানোর থেকে যায়, সবকিছু প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তির পরেও-----যেটা হয়তো নিজেকেই বলা বা জানানো। একটা অশান্তি মনের ভেতরে বয়ে বেড়ানোর চেয়ে সেটিকে শব্দে অনুবাদ করা, তার মুখোমুখি বসা, নিজের মুখোমুখি বসা----এটাই হয়তো প্ররোচনা দিয়েছিল কবিতা লিখতে। তারপর থেকে তো কবিতাই নিয়তির মতো করে পরিচালনা করে গেছে আমার যাপন ও জীবন।


কবিতা আশ্রম: 'ভ্রমণবল্লভ' বইটি সম্পর্কে নতুন কিছু কথা।
গৌরব চক্রবর্তী: 'ভ্রমণবল্লভ' আমার পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ। এর আগে আরও চারটি কবিতার বই আমার প্রকাশিত হয়েছে। সব কবিতাই তো আসলে জীবনের অনুবাদ, অভিজ্ঞতার-অনুভবের আর স্মৃতির সংকলন-----তবুও বলব, এই বইয়ের নামকবিতার সিরিজগুলো আমার লিখতে আসার শুরুর দিকের কবিতা সব। অবশ্য এর বেশিরভাগ কবিতাই আমার সেই লিখতে আসা শুরুর দিনের কবিতা-----যেগুলো বহুকাল ধরে আগলে রেখেছিলাম দিনলিপির মতো করে। এখানে সেগুলো ছড়িয়ে দিলাম অবশেষে।


কবিতা আশ্রম: এই বইটি নতুন কী দেবে?
গৌরব চক্রবর্তী: জানি না নতুন কী দেবে। তবে এই বইয়ে থাকা কবিতাগুলো সবই গদ্যের আকারে লেখা। এখানে জোর করে চাপানো কোনও বাহুল্য নেই। বলা ভালো, আমার কবিতাগুলো হল আমার জীবন ও যাপনের, অভিজ্ঞতামালার আর্দ্রবিষাদের কোরাস। এটুকুই...বাকিটা পাঠক বলবেন।



শব্দসাঁকো, পূর্ব মেদিনীপুর, ১০০ টাকা




বই উৎসব


 ‘...ভাষার ভেতর থেকে, রক্তের ভেতর থেকে, শব্দ ও নৈঃশব্দ্যের ভেতর থেকে, যতি-চিহ্নের ভেতর থেকে’ কবিতা কুড়োতে বের হয়েছেন গৌরব চক্রবর্তী। বেরিয়েছেন ‘একটা জ্যান্ত কলম’ নিয়ে। তাঁর সেই বেরিয়ে পড়া, গোধূলির ডাকনাম ‘ভ্রমণবল্লভ’ (শব্দসাঁকো, পূর্ব মেদিনীপুর, ১০০ টাকা)। কয়েক প্রহর শ্রাবণের বীজ ছিল চোখে, কিছু মেঘ অনিশ্চিন্ত ঠেকেছে, নিজের কাছ থেকে পালাচ্ছেন তিনি, তবু, কবিতার উপরেই শেষ পর্যন্ত ফিরে আসছেন। ধীর লয়ের চাহুনি দিয়ে কবিতা ছুঁয়ে রেখেছে, আর সেই চাহুনির ভেতরে নিজেকেই লিখে চলেছেন কবি। কেবল এই বিশ্বাস, যে ‘আমার পুনর্জন্ম বাঁক নিয়ে তোমার সুখের থেকে দূরে, ফেরত চলে যাবে...’
-----‘আমাকে মুছে দাও, অবহেলায়...’/ পাঠক সেনগুপ্ত / কবিতা আশ্রম (মুদ্রিত)/ জুন ২০১৮ 



অলংকরণ:মণিশঙ্কর



No comments:

Post a Comment

।। কবিতা আশ্রম ব্লগজিন ।। তৃতীয় সংখ্যা ।। ডিসেম্বর ২০১৮ ।।

শিল্পী: চন্দন মিশ্র                                                           কথা    ফের নকশিকাঁথার ভাঁজ খুলে মাঠে-মাঠে অঘ...